দৈনিক চিত্র ডেস্ক : শীত আসি আসি করছে। এরই মধ্যে বাজারে চলে এসেছে শীতকালীন বাহারি সবজি। এ সময়ে অন্যান্য সবজির মধ্যে টমেটোর চাহিদা একটু বেশিই। যদিও টমেটো সারা বছর পাওয়া যায়। তবুও এই ঋতুতে চাষ হওয়া টাটকা টমেটোর স্বাদই আলাদা।
শুধু স্বাদ নয়, টমেটোতে বহু পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। আসুন জেনে নেই টমেটোতে থাকা পুষ্টি আমাদের কী কী উপকারে আসে—
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টমেটো খুবই কার্যকর। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ক্রোমিয়াম রয়েছে। এই ক্রোমিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের সুস্থতায়
টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া টমেটোতে চার ধরনের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। যা চুল, নখ ও দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
হার্টের ঝুঁকি কমায়
টমেটোর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রতিদিনের ডায়েটে টমেটো থাকলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
কিডনি ভালো রাখে
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টমেটো থাকলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের জন্য
ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেন তৈরিতে কাজ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রক্ষায় সাহায্য করে।
প্রদাহ দূর করে
প্রদাহের একটি কারণ টিএনএফ-আলফা। টমেটোর কারণে শরীরে টিএনএফ-আলফার মাত্রা কমিয়ে রাখে। এতে শরীরে প্রদাহ কমে।
হাড়
হাড় সুস্থ রাখতে প্রয়োজন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘কে’। এই দুটোই টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলে টমেটো খেলে হাড় সুস্থ থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’ ও বিটা ক্যারোটিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
ক্যান্সার
টমেটোর লাইকোপেন খুব ভালো এ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই লাইকোপেন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। টমেটোর লাইকোপেন প্রস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে।
এ ছাড়াও পটাশিয়ামের খুবই ভালো উৎস টমেটো। এক কাপ টমেটোর জুসে প্রায় ৫৩৪ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম আছে। এ জন্য কিডনি রোগীদের বেশি টমেটো খাওয়া উচিত নয়।
এত গুণের কারণে এই মৌসুমে প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে টমেটো চাই-ই চাই।