আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে চলমান সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুলে উঠেছে দেশটির সাধারণ জনতা। সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সাধারণ ধর্মঘট এবং রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে যেতে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ আরো প্রবলভাবে দানা বেঁধে উঠছে। এদিকে দেশটির ব্যবসায়ীরাও প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সকল ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বন্ধ করে দিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবারের বিক্ষোভকে দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম গত এক ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের দমন নিপীড়ন অব্যাহত রাখলে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ় ব্যবস্থা নেবে এমন হুঁশিয়ারির পর এই বিক্ষোভ দেখা দিলো।
হেট হেট লাইং (২২) নামে এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি ভীত এবং সোমবারের বিক্ষোভে নামার আগে প্রার্থনা করেছেন। তবে তিনি নিরুৎসাহিত হবেন না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সামরিক শাসনের পক্ষপাতী নই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা নিজেরাই আমাদের ভাগ্য গড়ে নিতে চাই। আমার মা আমাকে বিক্ষোভে অংশ নিতে বাঁধা দেন নাই। বরং বলেছেন নিজের খেয়াল রেখো।
ওদিকে, অন সাং সু চিকে আটকে রাখার ব্যাপারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, আটক হওয়া রাজবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।