স্টাফ রিপোর্টার : অবৈধভাবে ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
দুদকের পরিচালক(জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এই মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় পাপুলের শ্যালিকা জেসমিনকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করার অভিযোগে পাপুল-সেলিনা দম্পতির মেয়ে ওয়াফা ইসলামকেও উক্ত মামলার আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, পাপুল-সেলিনা ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়াও পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন ৫টি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, জেসমিন শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বোন সেলিনা এবং দুলাভাই পাপুলের অবৈধ সম্পদকে মানিলন্ডারিং করে বৈধ সম্পদে রূপান্তর করতে ‘লিলাবালি’ নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সেই প্রতিষ্ঠানের হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকে এখন পর্যন্ত ৪৪টি হিসাব পাওয়া গেছে। যেখানে শুধুমাত্র এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই রয়েছে ৩৪টি এফডিআর হিসাব। আসামি শহিদ ইসলাম পাপুল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন, বিধায় এ সুবিধা গ্রহণ করতে তার কোনো বেগ পেতে হয়নি।
এর আগে, গত ১৭ জুন পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছিল দুদক। পাশাপাশি পাপুল দেশে ফেরার পর যাতে আবার বিদেশে যেতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে দুদক। গত ৬ জন কুয়েতের পুলিশ পাপুলকে মানব ও অর্থপাচার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করে।