আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ স্বীকারকারী দুই সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত চেয়েছে মিয়ানমার। ওই দুই সেনা সদস্য এখন নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের হেফাজতে রয়েছেন।
গত সপ্তাহে ওই দুই পলাতক সেনা মাইয়ো উইন তুন ও জো নাইং তুং জানিয়েছিলেন, কর্তৃপক্ষের আদেশে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে ওই গণহত্যা ও ধর্ষণ চালিয়েছেন তারা। নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের মুখেও একই ধরণের নির্যাতনের বক্তব্য পাওয়া গেছে।
ওদিকে, দুই সেনাকে ফেরত চাওয়ার প্রসঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেছেন, মিয়ানমারের স্বাধীন বিচার বিভাগ রয়েছে এবং যেহেতু বিচার বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, সেহেতু ওই পলাতক সেনাদের বিচার মিয়ানমারেই হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের তোলা মানে মিয়ানমারের বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ। তাছাড়া এখানে আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের আদালতে রাখাইন প্রদেশে ‘গণহত্যা’র তদন্ত শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে আদালত তদন্ত শুরু করেছে। তাই জবানবন্দি নেয়ার জন্য মিয়ানমারের আদালত পলাতকদের তাদের কাছে সোপর্দ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওই দুই সেনা গত আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করে। বাংলাদেশ ওই দুই সেনা সদস্যকে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেই তারা স্বাক্ষী হিসেবে আদালত হেফাজতে আছেন। এছাড়াও দ্য হেগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা গণহত্যা মামলার বিচারকাজ চলমান আছে।