স্টাফ রিপোর্টার : ওভার কনফিডেন্ট হয়ে মাস্ক না পরে ঘোরাঘুরি করার কারণেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, একদিকে রোজ সংক্রমণের হার এবং মৃত্যু বাড়ছে। আর আমরা আরেকদিকে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছি, কারণ আমরা বেশি কনফিডেন্ট হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগেও আমরা কক্সবাজারে লাখ লাখ লোক দেখেছি। এসব কারণেই দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে।
রোববার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন’ বিষয়ক আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম দিকে এর প্রতিকার সম্পর্কে কেউ জানতো না, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিকিৎসা পদ্ধতি অনেকবার পরিবর্তন করেছে। তখন বলা হলো ভেন্টিলেটর অনেক লাগবে, সেভাবে লাগেনি। সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাই ফ্লো ক্যানোলা প্রয়োজন ছিল, ল্যাবের প্রয়োজন ছিল। ল্যাব একটি থেকে ১১৮টি ল্যাব হয়েছে, এখন ১৭ হাজার পর্যন্ত টেস্ট হচ্ছে। উন্নত বিশ্ব এবং ভারতের উদাহরণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশে প্রতি ১০ লাখে হাজারের মতো মারা গেছে। আমাদের এখানে ৪৫-৪৮ এর মতো। আমাদের অর্থনীতি গ্রোথ রেট ধরে রেখেছে, অনেক দেশ মাইনাসে চলে গেছে। একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। কোনো উন্নয়ন থেমে নেই। শুধু শিক্ষা পুরোপুরি করতে পারিনি, এখন অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে।
ভ্যাকসিনের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিডের টিকার অনুমোদন দিলে প্রথম ধাপেই বাংলাদেশ টিকা দেশের মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার সুযোগ পাবে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালের জন্যও ব্যবস্থা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, লাখে লাখে হাসপাতালে গেলে পৃথিবীর কারো সক্ষমতা নেই নিয়ন্ত্রণ করার, বাংলাদেশেরও নেই। তাই সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ কারণে জরিমানা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু বাড়ছে, একইসঙ্গে মোকাবিলা করা জটিল, তবে এদিকে নজর রাখতে হবে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ ছিল। সে কারণেই আমাদের দেশে মৃত্যুহার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় কম। তবে কোনো মৃত্যুই কাম্য হতে পারে না। মনে রাখতে হবে দেশ বাঁচলে তবেই আমরা বাঁচবো। আমি আশাকরি বেসরকারি হাসপাতাল তাদের সহযোগিতার হাত অব্যাহত থাকবে।