স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এখন থেকে সব ধরণের ঋণের বিপরীতে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। খেলাপি ঋণে এখন থেকে কোনো ধরণের ছাড় দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের চলমান মেয়াদের শেষ দিন থেকে কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ ৫০ শতাংশ বাড়ানো যাবে। তবে এই সীমা কোনোভাবেই দুই বছরের বেশি অতিক্রম করতে পারবে না।
এ বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র থেকে জানা যায়, এই সার্কুলারটি জারির দিন থেকেই কার্যকর বলে গণ্য হবে। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এ কারণেই গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই এক বছর সব ধরনের ঋণের কিস্তি পরিশোধ স্থগিত করা হয়েছিল। সেই সাথে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ২০২০ সালের কোন গ্রাহককে ঋণের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হয়নি। একই সঙ্গে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোন গ্রাহককে নতুন করে ঋণ খেলাপি হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়নি।
তবে নতুন সার্কুলারে সেই সুবিধার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে সার্কুলারে মেয়াদী ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে কেবলমাত্র নিয়মিত মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে পরিশোধের সময়সীমা চলমান মেয়াদের সঙ্গে আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো যাবে ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। তবে তা কোন ক্রমেই এই মেয়াদ দুই বছরের বেশি বাড়ানো যাবে না। কোন খেলাপি বা মেয়াদী ঋণ ছাড়া অন্য কোন ঋণের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।