স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের নীলফামারি জেলার চিলাহাটি এবং ভারতের হলিদাবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পূর্ব নির্ধারিত এক ভার্চুয়াল সভায় যোগদান করে তারা যৌথভাবে এই ট্রেন সেবার উদ্বোধন করেন।
এই ট্রেন রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের যা লাভ হবে সে ব্যাপারে গত বছরই বিবিসি বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা খোন্দকার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রেলপথটি বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশের রেলই ব্যবহার করবে। ভারতের রেল যেমন এই পথ ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যাবে, তেমনি বাংলাদেশের রেলও পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি থেকে পণ্য আনা নেওয়া করতে পারবে। যেভাবে এখন খুলনা-কলকাতা বা কলকাতা-ঢাকা রেল যোগাযোগ রয়েছে, এটিও তেমন একটি রেল যোগাযোগ হবে।
কিন্তু এই রেলপথে রেল যোগাযোগ স্থাপন বাংলাদেশের জন্য একটু সুদূরপ্রসারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটান বাংলাদেশের মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে মালামাল পরিবহন করতে চায়। এখন সেটা সড়ক পথে করতে হচ্ছে, যার খরচও বেশি। কিন্তু এই রেলপথটি চালু হয়ে শিলিগুড়ির সঙ্গে যুক্ত হলে, আমাদের রেল পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যেতে পারবে। ফলে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও এই পথে আমদানি রপ্তানি করা যাবে।
এছাড়াও শিলিগুড়ির আশেপাশের অঞ্চলের সাথে বাংলাদেশের নতুন করে সংযোগ তৈরি হবে, যার ফলে পাথরসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি আমদানি সহজ এবং কম খরচে বহন করা যাবে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য়ের নতুন নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে।
হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি আসার পর রেল যেমন আবার ভারতে চলে যেতে পারবে, তেমনি সেখান থেকে সরাসরি মংলা বন্দরে যোগাযোগ থাকবে। ফলে মোংলায় জাহাজের পণ্য শিলিগুড়ি, সিকিম বা ভারতের উত্তর এলাকায় যেমন যেতে পারবে, তেমনি নেপাল ও ভুটানও বন্দর ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবে। এখানে থাকা সার্কের দেশগুলো এই রেলপথ ব্যবহার করে আমদানি-রফতানিতে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে, যার ফলে আর্থিক লাভ হবে বাংলাদেশের।