অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। এরইমধ্যে পূর্বে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া ৪১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিকদের চীনের মধ্যস্থতার মাধ্যমে ফিরিয়ে নিবে মিয়ানমার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার এবং চীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব বিষয়ে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারও রিয়ালাইজ করেছে যে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া দরকার, বাংলাদেশও ফিল করে তারা সম্মানের সঙ্গে নাগরিকত্ব নিয়ে ফিরে যাক। চীন সরকারও চায় যে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে ফিরে যাওয়া উচিত।
তবে, বাংলাদেশ বৈঠকে দাবি জানিয়েছিল যাতে রোহিঙ্গাদের এলাকাভিত্তিক বা গ্রামভিত্তিক প্রত্যাবাসন করা হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাতে রাজি হয়নি, বরং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর সময় তাদের ক্লিয়ারেন্স পাওয়া ৪১ হাজার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। আমরা আশা করছি মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সূচনা হবে। আমরা তার অপেক্ষায় আছি।
এনামুর রহমার আরো বলেন, মিয়ানমারের ইচ্ছা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার। এছাড়াও চীন-বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তেমনি মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং মিয়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায় তাহলে অবশ্যই মিয়ানমার সরকারকে তারা প্রভাবিত করতে পারবে।
চাল সহায়তা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের চীন সরকার দুই হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। সেখানে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর আমরা সেই চাল পেয়েছি।
সূত্র : বাংলানিউজ