আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সেনা দিবস সংক্রান্ত বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। পাকিস্তান এবং চীনকে একসাথে সামলে নেওয়া কঠিন, এ কথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এমনকি দেশ দুইটি যেকোনো সময় একসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি লাদাখে ভারতের যুদ্ধনীতির কথাও তুলে ধরেছেন।
নারাভানে বলেন, পূর্ব লাদাখে যতোদিন প্রয়োজন, মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। যদি চীনের সঙ্গে আলোচনায় দ্রুত ফল না মেলে, তাহলে ভারতীয় সেনা ওই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বহুদিন থাকতে প্রস্তুত। তবে, চীন যে দশ হাজার সেনা কমিয়েছে, সেটাকে বিশেষ আমল দিতে রাজি নন নারাভানে।
তিনি জানান, শুধু পূর্ব লাদাখ নয়, চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত জুড়েই সেনারা এখন খুব সতর্ক। চীন রাস্তা ও ব্যারাক বানাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের সীমান্তে। সে অনুযায়ী ভারতও নিজের রণকৌশল বদলাচ্ছে। গত বছরের এপ্রিলে চীন প্রথমে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে ভারতকে চমকে দিলেও আগস্ট মাসে ভারত সেটা সুদে আসলে পুষিয়ে নিয়েছে। আগস্টে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চূড়ো প্যাংগং লেকের ধারে দখল করে ভারত, যা চীনকে চমকে দেয়।
নারাভানে খোলাখুলিভাবেই জানান, জোট বেঁধে একত্র হয়ে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান। শুধু সামরিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং অন্য খাতগুলোতেও দেশ দুটি একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছে। সে কারণেই দু দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে, এ সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এমন পরিস্থিতি যদি ভারতকে মোকাবেলা করতে হয়, সেক্ষেত্রে যেদিকে বিপদের আশঙ্কা বেশি, সেদিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে।