স্টাফ রিপোর্টার : হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনায় তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব থেকে নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিসিয়াল আদেশে তাকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শাহ আলমের বিরুদ্ধে মূলত অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাই তাকে পদচ্যুত করা হয়েছে।
তবে, শাহ আলমের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবে ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ( এস কে সুর চৌধুরী)-এর বিরুদ্ধে উঠা অনিয়মের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত ৩রা ফেব্রুয়ারি) আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হকের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাশেদুল হক জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের ‘মাসোহারা’ দেয়া হতো। এসব অনিয়মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী।
তাদের বিরুদ্ধে স্টাফ ‘ল’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে রাশেদুল হক দাবি করেছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অনিয়ম চাপা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের ৫-৭ লাখ টাকা করে দিতে হতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেয়া হতো ২ লাখ টাকা করে।
আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অনিয়ম ‘ম্যানেজ’ করতেন তৎকালীন ডেপুটি গভর্নর এস কে সূর চৌধুরী।
আদালতে রাশেদুল হক আরো বলেন, পি কে হালদারের সঙ্গে এস কে সুর চৌধুরীর খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। তার মাধ্যমে সব অনিয়ম ম্যানেজ করতেন তিনি।