স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে আগুন লাগার ঘটনায় বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণের জেরে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ কথা উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তদন্ত কমিটি, সচিবের নিকট ওই তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এসময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্যাসের লাইনগুলো ১৯৯৬ সাল থেকে দুর্ঘটনার স্থানে ছিল। তারা আমাদের নিয়ম না মেনে লাইনের নিচে দিয়ে মসজিদের বেসমেন্ট করেছে। এছাড়াও মসজিদ নির্মাণের সময়ও গ্যাস লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার দুজন গ্রাহক অবৈধভাবে গ্যাস লাইন থেকে রাইজার টেনে নেয়ায় লাইন আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিয়ম না মেনে ২০০০ সালে তারা এই মসজিদটি নির্মাণ করে।
কমিটির প্রধান আব্দুল ওহাব বলেন, কোনো লাইনে লিকেজ না হওয়া পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায় না। মসজিদের ফ্লোরে ৬/৮ সিসি ঢালাই দেয়া ছিল না। তাই লিক হওয়া গ্যাস মসজিদের এসি চেম্বারে গিয়ে জমে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় বিকল্প লাইন চালু হলে তা স্পার্ক করে। সেখান থেকেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি।
তিনি আরো বলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি আমাদের জানিয়েছেন, কে বা কারা তাদের কাছ থেকে গ্যাস লাইন সরিয়ে দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। তবে তিনি তার দাবির পক্ষে যুক্তি বা কোনো প্রমাণ বা কারো নাম নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। এছাড়া দেওয়ান ও শওকত নামের দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে তিতাসের নিয়ম না মেনে গ্যাস লাইন স্থানান্তর করেন। এরপর মসজিদেও অবৈধ গ্যাসের লাইন ছিল। গ্যাস লাইন ফেটে লিক হচ্ছে, মসজিদ কমিটি বা স্থানীয়রা এ ব্যাপারে আগে জানায় নি। এমনকি মসজিদ কমিটি মসজিদ নির্মাণে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন দেখাতে পারেনি।