স্টাফ রিপোর্টার : তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাত্র তৃতীয় শ্রেণি পাস। আর এই তৃতীয় শ্রেণি পাস করেই ডেন্টাল সার্জন হয়ে গেছেন নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এমন ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায়। আজ দুপুরে র্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে। নূর হোসেন সাথে তার সহকারি হিসেবে মেয়ের জামাই জাহিদুল আলমকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
জানা গেছে, খিলগাঁও-এর তিলপাপাড়া ৭ নম্বর সড়কের একটি বাসার নিচে আগে ডা. জিহান কবির নামে একজন দন্ত চিকিৎসক বসতেন। করোনার শুরুতেই তিনি সেখান থেকে চলে যান। আর এ সুযোগটাই কাজে লাগান নূর হোসেন। মেয়ের জামাই এসএসসি পাস জাহিদুল আলমকে নিয়োগ করেন সহকারি সার্জন। দন্ত ক্লিনিকে কাজ করার অভিজ্ঞতা আগে থেকেই ছিল নূর হোসেনের। সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মেয়ের জামাইকে সাথে নিয়ে রাতারাতি সাইনবোর্ড পালটে বনে যান বিশেষজ্ঞ দন্ত চিকিৎসক।
বিষয়টা জানতে পেরে র্যাব সেখানে ওঁৎ পাতে। দেখা যায়, এক রোগীর রুট ক্যানেল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নূর হোসেন। এ সময় তাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। শ্বশুর নূর হোসেনকে দেয়া হয় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং জামাই জাহিদুল ইসলাম দেয়া হয়েছে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু গণমাধ্যমে জানান, দাঁত মানুষের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অথচ এ বিষয়টি নিয়েই তারা প্রতারণা করে আসছিল। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আমাদের কাছে তথ্য আছে, খোদ রাজধানীর অলি-গলিতে এ ধরণের অসংখ্য ভুয়া ক্লিনিক এবং ভুয়া ডাক্তার আছে। আমরা শিগগিরই সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে নামবো।