স্টাফ রিপোর্টার : লঞ্চ দুর্ঘটনার মামলায় আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন লঞ্চের দুইজন মাস্টার। তবে আদালত তাদের জামিন আবেদন গ্রহণ না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনার জের করে ঢাকার সদরঘাট থেকে দেশের সকল নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
সদরঘাট থানার (নৌ) এসআই শহীদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত দুই লঞ্চ মাস্টার জামিনের মেয়াদ বাড়াতে মেরিন আদালতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন আদালত। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিকরা আজ দুপুরেই সব ধরণের লঞ্চ সরিয়ে নেয়।
জানা গেছে, ২০২০ সালে চাঁদপুরের হরিনাঘাটে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেউ মারা না গেলেও লঞ্চ দুটি ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মেরিন আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় দুই লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ও আলমাস জামিনে ছিলেন। সে ঘটনায় আজ আদালতে হাজিরা দিতে যান ওই মাস্টাররা। তখন আদালত তাদের জামিন বাতিল করে দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদেই নৌ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, কোথায় কবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কোনো হদিস নেই। কিন্তু চার মাস ধরে এই দুইজনের সার্টিফিকেট হোল্ড করে রাখা হয়েছিল। জামিন না দেওয়ার কোনোই কারণ ছিল না। কিন্তু তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা সদরঘাট থেকে সব লঞ্চ সরিয়ে ফেলেছে।