স্পোর্টস ডেস্ক : পাহাড় সমান ঋণের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে ক্লাব বার্সেলোনা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্টেডিয়ামে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দর্শক প্রবেশ। এতেই দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে ক্লাবটি। এরইমধ্যে মেসিসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের বেতন কম নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
বার্সেলোনার অন্যতম স্টার প্লেয়ার আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সার চুক্তি রয়েছে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত। এরপর আবারও চুক্তির মেয়াদ মেসি বাড়াবেন কিনা সে ব্যাপারটি এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বার্সেলোনা সভাপতি পদপ্রার্থী টনি ফ্রেইজা গণমাধ্যমে বলেছেন, মেসিকে বেতন দেয়ার সামর্থ্য প্রায় হারাতে বসেছে বার্সেলোনা। একইসাথে আর্জেন্টাইন তারকা যদি বেতন কম না নেন সেক্ষেত্রে চুক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনাও দেখছেন না তিনি।
বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে গত মাসে সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ। আগামী বছরের শুরুতে হতে যাওয়া নির্বাচনে জানা যাবে নতুন সভাপতির নাম। মেসিকে ধরে রাখতে আগ্রহী হলেও অর্থ সঙ্কটে থাকা বার্সেলোনা চাইছে সমঝোতা করতে। সভাপতি পদপ্রার্থী টনি ফ্রেইজা বলেন, ‘মেসির সঙ্গে সামনাসামনি বসে আমরা আলোচনা করবো। ক্লাবের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে আমরা সবকিছু করবো। মেসি সহ অন্য খেলোয়াড়দের চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি স্পষ্ট। এতদিন পাওয়া বেতনের সঙ্গে নতুন চুক্তির কোনো মিল থাকবে না। মেসির মন জয় করা কিংবা তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে রাজী করানোর দরকার নেই। তার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে এবং জানতে হবে দুই পক্ষ কী চায়। সে কী চায় এবং বার্সেলোনা কী চায়। আমরা মনে করি, ফুটবলকে মেসির আরও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি।’
ক্লাব বার্সেলোনার এখন পর্যন্ত মোট ঋণের পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো।
তবে ক্লাবের পাশে খেলোয়াড়রা দাঁড়াননি এমনটা মোটেও সঠিক নয়। করোনা মহামারির শুরুর সময় ক্লাব থেকে ৭০ শতাংশ কম বেতন নিয়েছিলেন মেসি-আলবা-পিকেরা।