স্টাফ রিপোর্টার : বাগেরহাটের একজন মাদ্রাসা ছাত্রী(১১)কে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার প্রধান ও একমাত্র আসামি ইলিয়াছ জোমাদ্দার(৪৮)-এর উপস্থিতিতে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম জনাকৃর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন।
আসামি ইলিয়াছ শরণখোলা উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার ও একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আব্দুল গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৮ই আগস্ট সকালে ভিকটিম ছাত্রী প্রতিদিনের মত মাদ্রাসা সুপারের কাছে পড়তে যায়। কিন্তু মাদ্রাসা সুপার পড়া শেষে ওই ছাত্রী বাদে অন্য ৩ জনকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার লাইব্রেরী কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর ধর্ষণের কথা যাতে ওই ছাত্রী কাউকে না জানায় সে জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে ইলিয়াছ। এরপর ওই মেয়েটিকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় সে। কিন্তু মেয়েটি বাড়িতে ফিরে তার মাকে সব জানিয়ে দেয়।
পরে মা, ভিকটিমকে নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যান। এ ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করা হয়েছে জানতে পেরে গা ঢাকা দেয় ওই মাদ্রাসা সুপার।
ঘটনার ২মাস পর ১৭ অক্টোবর বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই এর উপ পরিদর্শক আবু সাইয়েদ। গ্রেপ্তারের ৩দিন পর মাদ্রাসা সুপার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। চিকিৎসক, পুলিশ, বাদী ও বিবাদীসহ মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও বাদী-বিবাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত এ মামালার রায় ঘোষণা করেন।