আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামিক বিপ্লব শুরুর সময় থেকেই আমেরিকার সাথে ইরানের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। এখনও সেই বৈরি মনোভাব বজায় রয়েছে। এমনকি ইরানের রাজধানী তেহরানে কোনো মার্কিন দূতাবাস নেই। বিদায়ী
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের উপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তার উপর নজর রাখছে তেহরান।
শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে ইরানকে ভয় দেখানো যাবে না। আমরা কখনওই মাথা নত করব না। আমরা আশা করছি বিগত তিন বছরে আমেরিকা শিক্ষা নিয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো কাজ করবে ওয়াশিংটন। বিগত তিন বছর ধরে আমাদের দেশের মানুষ আর্থিক সন্ত্রাসবাদের শিকার। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তারা ভুল করছে।
ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে আমেরিকার আণবিক এবং অর্থনৈতিক পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে তেহরান। এর কারণ হিসেবে বাইডেন যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেও যান, তবুও আমেরিকার ইরান বিরোধী নীতির বিশেষ পরিবর্তন হবে না, এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।