স্পোর্টস ডেস্ক : কোয়ালিফায়ার রাউন্ডেও চট্টগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা। মাশারাফির ৫ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট কেটেছিল খুলনা। আর এবার একই চট্টগ্রামকে ফাইনালে আবারও হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শিরোপা জিতেছে খুলনা। ফাইনালের নায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে (৪৮ বলে ৭০) ১৫৫/৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় খুলনা। মাহমুদ উল্লাহর দারুণ নেতৃত্বে শেষ ওভারে ফাইনাল জিতে নেয় খুলনা। পেসার শহীদুল ইসলামের করা শেষ ওভারে চট্টগ্রামের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। চট্টগ্রামের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখা সৈকত আলীকে ফিরিয়ে (৪৫ বলে ৫৩) জয় নিশ্চিত করেন শহীদুল।
এর আগে শহীদুলকে আউট করেন মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ ওভারে ১০ রান নিয়ে ১৫০/৬ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।
পুরো আসরে আলো ছড়ানো চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ফাইনালে ব্যর্থ।আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক লিটন (৩৯৩ রান)। ২৯২ রান করে আসরের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সৌম্য সরকারের। ১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে ১২ রান করে ফেরেন সৌম্য। ২৩ বলে ২৩ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন লিটন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (৫ বলে ৭) দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ। চারে নামা সৈকত আলীর ব্যাটিং ধীরে ধীরে চট্টগ্রামকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু খুলনার বোলিং তোপে তাকে সঙ্গ দেওয়ার মত কেউ ছিল না।
পাঁচদিন আগে বাবাকে হারানো শহীদুল ইসলাম করেন দুর্দান্ত বোলিং।১৮তম ওভারে দেন ১১ রান। শেষ ওভারে ১০ রান দিলেও সৈকত আলী ও মোসাদ্দেক হোসেনকে ফিরিয়ে ফাইনালের অন্যতম নায়ক আসরে ১৫ উইকেট নেয়া শহীদুল।