স্টাফ রিপোর্টার : শুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেয়া এবং আল্লাহ হাফেজ বলাকে জঙ্গিবাদের সাথে তুলনা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগ শিক্ষক অধ্যাপক, জিয়াউর রহমানকে তার দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিগ্যাল নেটিশ পাঠিয়েছেন মুহম্মদ মাহবুব আলম। নোটিশ পাওয়ার ২ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে ওই নোটিশে জানানো হয়।
মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ শেখ ওমর শরীফ, বৃহস্পতিবার(২২ অক্টোবর) অধ্যাপক জিয়াউর রহমানকে উক্ত নোটিশটি পাঠান।
সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ মুহম্মদ ওমর শরীফ বলেন, সম্প্রতি “ডিবিসি নিউজ” টেলিভিশন চ্যানেলের “উপসংহার” নামক টক শো-তে “ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ” বিষয়ক আলোচনায় মুসলিমদের শুদ্ধ উচ্চারণে “আসসালামু আলাইকুম” বলা ও “আল্লাহ হাফেজ” বলাকে গর্হিত, নিন্দনীয়, জঘন্য ব্যাখ্যা করে এসবকে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান।
অথচ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ নম্বর অনুচ্ছেদে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। একই সময়ে, সহীহভাবে সালাম আদান প্রদান ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ও মহানবী হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-উনাদের প্রদত্ত নির্দেশ ও শিক্ষা অনুযায়ী শুদ্ধভাবে “সালাম” দেওয়াকে জিয়াউর রহমান অত্যন্ত গর্হিত, নিন্দনীয়, বেয়াদবিপূর্ণ ও জঘন্যভাবে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত করেছে। এই ধরণের মন্তব্য ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক। আপনার মন্তব্য মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত হেনেছে।