স্টাফ রিপোর্টার : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা দুর্নীতির মামলায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক এমডী সহ ২২ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার মামলার নির্ধারিত তারিখে ওই ২২ জন কর্মকর্তা দিনাজপুরের স্পেশাল জজ মো. মাহমুদুল করীমের আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দিনাজপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. ইরাফিল জানান, এতদিন তারা আদালতের কাছ থেকে জামিন নিয়ে মুক্তভাবেই চলাচল করছিলেন। আজ বুধবার এ মামলার চার্জশিট শুনানির শেষ দিন ছিল, শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি, তবে শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলমের পক্ষে দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান আদালতে সাবেক ৭ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন এবং আদালত গত বছরের ১৫ অক্টোবর চার্জশিট আমলে নেন। এদের মধ্যে সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান মারা যাওয়ায় বর্তমানে এ মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ২২ জন।
চার্জশিটে বলা হয়, এই মামলার আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ঘাটতিকৃত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতে জড়িত। যার বাজার মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা। আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪শে জুলাই বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে ম্যানেজার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তভার অর্পণ করা হয় দুদককে। সেই চার্জশিটে এজাহারভুক্ত থাকা ১৯ জনের মধ্যে ১৪ জনকে আসামি করা হয়। অধিকতর তদন্তে আরো ৭ জন সাবেক এমডি সহ ৯ জনের নাম বেরিয়ে আসে। কিন্তু একজন এমডি এরইমধ্যে মারা যাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে বর্তমানে এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হচ্ছেন মোট ২২ জন।