অনলাইন ডেস্ক : ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম। ক্রেতারা আরো দাম বাড়বে সে ভয়ে বেশি করে পেঁয়াজ কিনছেন, ওদিকে খুচরা বিক্রেতারা ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তবে এ অবস্থা ওপারেও। ভারতের পাইকারি বাজারে গত ৬ মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে পেঁয়াজের বাজারের এই অস্থিরতার কারণে ভারতের আসন্ন বিহারের বিধানসভা ভোট এবং মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে ছাড় দিতে নারাজ বিজেপি সরকার। তাই নির্বাচনে হারার ঝুঁকি এড়াতে এবং দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ হিসাবে গত সোমবার(১৪ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদি সরকার।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ অস্থিরতা। বিক্রেতারা অনেকটা নিজের মনমত পেঁয়াজের দাম হাঁকাচ্ছেন, কোথাও কোথাও পেঁয়াজের দাম এরই মধ্যে ৯০-১০০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। ভারতের পেঁয়াজ অবরোধের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লির সাথে যোগাযোগ করা হলে দিল্লি জানায়, গত কয়েক মাসে ভারত, বাংলাদেশে যা পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে তাতে অভাব হওয়ার কোনো কারণ নেই।
ওদিকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে ভারতের চাষীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করলেও বেশিরভাগ চাষী পেঁয়াজ বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের পিঁয়াজ চাষীদের দাবি, যখনই চাষীরা পেঁয়াজের একটু ভালো দাম পাওয়া শুরু করে তখনই সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ভারতের খুচরা বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ রুপিতে। গত জুন জুলাইতে কেজিপ্রতি দাম ২০ রুপির আশেপাশে ছিল।
সূত্র : আনন্দবাজার