স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ এ পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও দুই শিশুও রয়েছে।
রোববার(৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার চানখারপুলে অবস্থিত শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এ কথা নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।
ওদিকে, এসি নয় বরং গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ সংগঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার ঘটা এ বিস্ফোরণে মসজিদে থাকা ৬টি এসি পুড়ে যায়, প্রচন্ড বিস্ফোরণে জানালার কাচ উড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের সদস্যরা আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন।
এ দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিচয়, মসজিদ ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), নারায়ণগঞ্জের কলেজ শিক্ষার্থী মো. রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টসকর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), মুন্সিগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), নারায়ণগঞ্জের হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), শিশু জুবায়ের (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), শামীম (৪৫) ও জুলহাস।
মৃতদের সকলেই নারায়ণগঞ্জের তল্লা এলাকার অধিবাসী।