স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ে গরু চুরির অভিযোগে বৃদ্ধা মা ও যুবতী মেয়েদের কোমরে রশি বেঁধে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যেই খোঁজ নিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে এই মারধরের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর হয়।
গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম ওই বৃদ্ধা মহিলা এবং তার যুবতী মেয়েদের মারধর করেন। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উল্লেখ্য, গরু চুরির অভিযোগে তাদের মারধর করা হয়।
তবে প্রকাশ্যে এভাবে কোমরে রশি বেঁধে পেটাতে পেটাতে গ্রামে ঘোরানো এবং ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের আবার মারধরের ব্যাপারটি ন্যক্কারজনক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মত দিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে এই পুরো ব্যাপারটি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের ষড়যন্ত্র বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
একজন জনপ্রতিনিধির হেন আচরণের বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সামনে উত্থাপিত হলে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গরু চুরির মামলায় ওই দুই মেয়ে, এক ছেলে, মা সহ মোট ৫জন এরই মধ্যে কারাগারে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, বৃদ্ধ মা ও মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে মারধরের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যথায় তিনি বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনবেন বলে জানান।