স্টাফ রিপোর্টার : রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। হত্যার ঘটনায় তদন্তের পর তিনি প্রথমে হলেন সন্দেহভাজন, পরে আসামি। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এরপর হাইকোর্টের রায়ে জামিন পান মিন্নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে ফাঁসির আদেশ হলো তার বিরুদ্ধে। আর বহুল আলোচিত মিন্নি হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হলো তাকে।
মামলায় সরকারি আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর ভুবন চন্দ্র হাওলাদার জানিয়েছেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি তার স্বামীকে হত্যার ‘ষড়যন্ত্র’ এবং ‘পরিকল্পনায়’ যুক্ত ছিলেন, সেটা প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, মিন্নি ছিলেন ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী- এটি আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুব বারী আসলাম বলেন, রিফাত মোটরসাইকেলে উঠে চলে যাওয়ার সময় পিছন দিকে যায়। পরেই মামলার অন্য আসামিদের দেখা যায় রিফাতকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে। আসলাম আরো বলেন, হামলার সময় স্বামী রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল মিন্নি। অন্তত ভিডিওতে তাই দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়টি কতটা বিবেচনা করা হয়েছে, তা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পনের মাস আগে গত বছরের ২৬শে জুন বরগুনার কলেজ রোডে প্রকাশ্যে দিনের বেলা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। এর প্রধান আসামী ছিলেন সাব্বির আহমেদ নয়ন, যিনি নয়ন বন্ড নামে পরিচিত।