আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে অভ্যুত্থানের পক্ষ এবং বিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে এক সাংবাদিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। একইসাথে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলেও দাবি জানানো হয়েছে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র মেলেনি।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া পালটা ধাওয়া চলছিল। এক সময় গণতন্ত্রের পক্ষের জনতাদের উপর অভ্যুত্থানের পক্ষের ব্যক্তিদের ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। এর আগে আজ সকালে ইয়াঙ্গুনে প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের ক্যাম্পাস থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ। ক্যাম্পাসের গেট ব্লক করে রেখেছে তারা।
ফলে ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে বের হতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এর ফলে উত্তেজনা আরো চরম আকার ধারণ করেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের শুরু থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করার পর থেকে আন্দোলন আরো বেগবান হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এই বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে ইয়াঙ্গুন, ন্যাপিডসহ বড় বড় শহর। তবে আজ বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের যোগ দেয়া আটকে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত শিক্ষার্থী কাউং সাত ওয়াই (২৫)। তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারকে টেনে নামাতে হবে আমাদের মতো ছাত্রদেরকেই। অভ্যুত্থানের পর থেকে আমাদের জীবন আশাহীন হয়ে পড়েছে। আমাদের স্বপ্নরা মরে গেছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে আটকা পড়েছেন বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী।