স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারি করোনাভাইরাস টিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা এবং ও সমবন্টন এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছেন। উক্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো তুলে ধরেন। এছাড়াও ভ্যাকসিনের জাতীয়তাবাদ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন পাবে। এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই সকল দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময় মত এবং একইসঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
জাতিসংঘের ৭৫তম ভার্চ্যুয়াল অধিবেশনে বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে এই বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পূর্বেই ধারণ করা এই ভাষণে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ওষুধ শিল্পের অবকাঠামোগত সক্ষমতার বিষয়টির উল্লেখ করে বলেন, কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ব প্রদান করা হলে, এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। ১৭ মিনিটের ওই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন, ঞ্জিভূত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরো আন্তরিক হতে হবে। এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি, মিয়ানমারকেই এই সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব নিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ১১ লাখেরও বেশি মানুষ মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে, বাংলাদেশ মানবিক কারণ বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু এরইমধ্যে ৩ বছর পার হয়ে গেছে, এখনও একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। তাই এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।