স্টাফ রিপোর্টার : শুক্রবার(১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাঁঠালবাগানে শ্বশুরবাড়ির ৯ তলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলামের ছোট ছেলে ব্যারিস্টার আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ(৩৩)। এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল শহিদুল ইসলামের বড় ছেলে আসিফ ইমরান খান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে মারা যান।
নিহত আসিফের মৃত্যুর প্রসঙ্গে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র জানান, কাঁঠালবাগানের একটি বাড়ি থেকে একজন যুবক লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে, এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে নিহতের আত্মীয়-স্বজন এবং স্ত্রীর সাথে কথা বলি। এ আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা সম্ভবপর হবে।
নিহত আসিফের স্ত্রী সাবরিনা শাহিদ নিশিতা জানান, সে(আসিফ) নেশা করতো। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তারপর থেকেই আসিফ বারান্দায় বসে ছিল। শেষ রাতে ও ৯ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে।
আসিফের শ্যালক সাইমন শাহিদ নিশাদের ভাষ্যমতে, ৪ বছর আগে আসিফ ও নিশিতার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এ বিয়ে আসিফের পরিবার থেকে মেনে নেয়া হয়নি। সে কারণে আসিফ কাঁঠালবাগানে তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতো। আসিফের বাবা মা থাকতেন মিরপুরে। আসিফ মাদকদ্রব্যে আসক্ত ছিল। কিছুদিন আগে উত্তরার একটি রিহাব সেন্টারে তিনি নেশা থেকে মুক্তির জন্য চিকিৎসাও নিয়েছিলেন। আসিফ ও আমার বড় বোন নিশিতার মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। গতরাতেও এমনই এক ঝগড়ার জের ধরে আসিফ ৯ তলার রেলিং-এর উপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।
ছেলের প্রসঙ্গে বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, আসিফ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। মতিঝিলের দেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবেও কাজ করছিলো সে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভোরে খবর দেয় আসিফের অবস্থা ভালো না, ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। পরে ঢামেক চিকিৎসকরা আসিফকে মৃত ঘোষণা করে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার ছেলের মৃত্যুর ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আসিফ আত্মহত্যা করতেই পারে না। আমার সন্দেহ আসিফকে মেরে ফেলা হয়েছে।