অনলাইন ডেস্ক : মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। সংসারে টানাপড়েন। সে কারণেই উঠতে বসতে কথা শোনাতেন স্ত্রী। আর প্রতিদিনের এই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে নিজের মৃত্যুর নাটক করেছেন ভারতের এক ব্যক্তি।
জানা যায়, ওই ব্যক্তি মৃত্যুর প্রমাণস্বরূপ ছাগলের রক্ত ব্যবহার করেছিলেন। এরপর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশি তদন্তে শেষ পর্যন্ত ধরা পরে যান তিনি। তাকে আটক করে জেরা করলে সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপ কুমার রাম। দীর্ঘদিন ধরেই বেকার তিনি। অন্যদিকে, ৩৩ বছর বয়সি স্ত্রী প্রতিভা কুমারী সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। স্বামী কোনও কাজ না করায় সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। আচমকাই ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ হন প্রদীপ। সকালে উঠে স্বামী যেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন, সেখানে রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিভা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তার স্বামীকে খুন করে লাশ গায়েব করে দিয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও প্রদীপের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই বাড়ির অদূরে একটি বোতল পাওয়া যায়। তাতে তখনও রক্ত লেগে ছিল। সন্দেহ হয় পুলিশের। যে জায়গাটিতে রক্ত লেগেছিল, সেটি দেখে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। জোরদার তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
তল্লাশির এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি নিজের মৃত্যুর নাটক করে উত্তরপ্রদেশের জামানিয়া এলাকায় পালিয়ে আছেন। পরে সেখান থেকেই তাকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। জেরার পর মূল ঘটনা পুলিশকে খুলে বলেন প্রদীপ। বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করছিলেন তার স্ত্রী। তাই বাজার থেকে ছাগলের মাংসের রক্ত কিনে এনে তা দিয়েই নিজের মৃত্যুর মিথ্যা গল্প পাতেন তিনি।
স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে ঘর ছাড়লেও প্রদীপকেই মুচলেকা দিয়ে রেহাই পেতে হয়েছে। এ ব্যাপারে তার স্ত্রীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।