স্টাফ রিপোর্টার: মানসিক অসুস্থতার কারণে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে স্বজনেরা রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে ভর্তি প্রক্রিয়া চলার মধ্যে হাসপাতালের কর্মীরা তাকে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে নিয়ে যান।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি তাকে শারীরিক নির্যাতনের দৃশ্যও দেখা যায়।
এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত আনিসুল করিম বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনারের পদে ছিলেন।
আনিসুল ৩১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন বলে তার সহকর্মীরা জানান।
তিনি বরিশাল থেকে সোমবারই গাজীপুরের বাসায় গিয়েছিলেন বলে জানান আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ফারুক মোল্লা।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “তিনি (আনিসুল) মানসিকভাবে একটু অসুস্থ থাকায় এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”
আনিসুলকে মাইনড এইডে নিয়ে গিয়েছিলেন তার বোন।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল গণমাধ্যমকে বলেন, “সহকারী কমিশনার আনিসুল করিমকে কয়েকজন মিলে চিকিৎসার নামে এলোপাতাড়ি মারধর করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রশিক্ষিত নয়, হাসপাতালের এমন কিছু ব্যক্তি তাকে চিকিৎসার নামে মারধর করে। এতে তিনি প্রাণ হারান। পুলিশ খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।”
ঘটনার পর হাসপাতালের আটজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।